লৌহজংয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “অনলাইন স্কুল লৌহজং” ব্যাপক সারা ফেলেছে

করোনা কাল থেকে এ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সমস্ত স্কুল ,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ।সেই দিক থেকে পিছিয়ে নেই প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা। লৌহজংয়ে “অনলাইন স্কুল লৌহজং”ফেসবুক পেইজে শিক্ষিকা কাজী রুনার মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণীর নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন ।কাজী রুনার সাথে সাথে আরো কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। দিঘলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কাজী রুনা বলেন , “আমরা (সুমাইয়া তাবাসসুম, মনিকা আক্তার , আওলাদ হোসেন,শাহাদত হোসেন,আলামিন হোসেন,মুন্নি আক্তার, সাহিদা বেগম,রোকসানা আক্তার,ঝুমুর আখতার, নার্গিছ আখতার,মুক্তা আক্তার, নিপা রানী সাহা,মিতালি দাস,মেহেরুন মিথুন,তারক নাথ,রতন স্যার,রেশমা আক্তার,রিন্জু, লিমু মল্লিক,বিথী বিশ্বাস, সাবিহা শেখ,রোকসানা আক্তার, দীপা, মোবারক,সংগিতা দাস,রোমেল স্যার, সুখিনুর,শাহিনা আক্তার সহ আরো অনেকেই) অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি। যাতে করে শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে।
দিঘলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আর রাফি ও রিফাত বলেন, “আমরা লৌহজং অনলাইন স্কুলের ক্লাস নিয়মিত করে থাকি। এবং আমাদের পাঠদানের কোন সমস্যা হচ্ছে না।
ধারার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত বলেন, “স্মার্ট ফোন না থাকার কারণে আমরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছিনা তারপর যাদের স্মার্ট ফোন আছে তাদের ইন্টারনেট গতি কম হওয়ায় ঠিকমতন ক্লাস করতে পারছেন না’।
অভিভাবক শোভা আক্তার ও লিজা আক্তার বলেন, ,”আমরা আমাদের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস গুলো করাচ্ছি কিন্তু যাদের স্মার্টফোন নেই তারা এই ক্লাসগুলো মিস করছেন। আমরা ক্লাস গুলো নিয়মিত শেয়ার করে থাকি যাতে করে অন্য বাচ্চারা এ ক্লাসগুলো করতে পারে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া মুন্সিগঞ্জ টুডে কে জানান, “লৌহজংয়ে অনলাইন ক্লাস গুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে । এতে করে ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত পাঠদানে আগ্রহী হচ্ছেন ।যেহেতু অনেকের বাসায় ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন না থাকার কারণে ক্লাসগুলো করতে পারছেন না । তাই অতিসত্বর লৌহজংয়ের স্যাটেলাইট টিভির (ডিস এন্টেনা) মাধ্যমে এই ক্লাসগুলো প্রচার করা হবে ।তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ এই করোনাকালে ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।