স্ত্রী,শ্বশুর ও শাশুড়িকে পিটিয়ে আহত করলো জামাই.

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত জামাই
মোখলেস খাঁনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোখলেস খাঁন উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চরচাষী গ্রামের আশক আলীর ছেলে। এবং লেবানন প্রবাসী।
শনিবার দুপুরে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন বসুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্বশুর সহিদ উদ্দিন, শাশুড়ি মাহফুজা বেগম এবং স্ত্রী রোজিনা বেগম কে
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্ত্রী রোজিনা বেগম কে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, ২০০৯ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের প্বার্শবর্তী গ্রামের মোখলেস খাঁনের সঙ্গে। ১২বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে দুইটি পুত্র সন্তান জম্ম গ্রহন করে। সংসারের অভাব অনটনে গেল ২০১৪ সালে লেবাননে পাড়ি জমান মোখলেস খান।
লেবাননে যাওয়ার কয়েক বছর মোখলেস খাঁন পরিবার পরিজনের নিয়মিত খোঁজ খবর নিলে ও চার বছরের মাথায় গিয়ে হঠাৎ পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে তার স্ত্রী লোক মারফত জানতে পারে তার স্বামী মোখলেস খাঁন লেবানন প্রবাসী এক মহিলা কে বিয়ে করে সেখানেই সংসার করছে। এ নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না ।
চলতি বছর গেল মে মাসে প্রথম সপ্তাহে লেবানন থেকে দেশে ফিরে মোখলেস খাঁন। স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহর কথা জানতে চাইলে স্ত্রী রুজিনার সাথে খারাপ ব্যবহার সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। পরে এক পর্যায় গত সপ্তাহে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে চাষীচর থেকে বাপের বাড়ি নতুন বসুরচর চলে আসে রোজিনা বেগম।
এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে স্বামী মোখলেস শ্বশুর বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় শ্বশুর শ্বাশুড়ি প্রতিবাদ করলে কাঠের ডাঁসা দিয়ে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি এবং স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট জামাই মোখলেস খান মোবাইল ফোন স্বর্ণলঙ্কা এবং ঘরে থাকা নগদ কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত স্ত্রী রোজিনা বেগম কে ঢাকা পঙ্গু কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এঘটনায় শ্বশুর সহিদ উদ্দিন ওই দিন বিকালে জামাই মোখলেস খানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে গজারিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই নুরুল হুদা জানান, অভিযোগ পেয়েছি করেনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।