সিরাজদিখানে ফসলি জমিতে অবৈধ ড্রেজিং, হুমকিতে ফসলি জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:৪৯ PM, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সরকারি নিয়মনীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে এবং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয় ফসলী জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দনধূল গ্রামের মৃত আলেব তালুকদারের ছেলে হানিফ তালুকদারের বিরুদ্ধে।

এতে করে হুমকির মূখে পরেছে ওই এলাকার অর্ধশতাধীক ফসলী জমি। এমনকি অবৈধ ড্রেজিংয়ের ফলে হুমকির কবলে পরা কৃষি জমির মালিকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে বোবা বানিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায, উপজেলা ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের জনৈক হাজী মাসুদ সারেংয়ের রাড়ী সংলগ্ন পশ্চিমে দিকে হোতার চক নামক স্থানে অবস্থিত হানিফ তালুকদারের ৯৮ শতাংশের একটি ফসলী জমিতে অবৈধ ড্রেজিং বসিয়ে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বালু উত্তলন করে ওই এলাকার দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারী নিয়মনীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে নির্বিঘ্নে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। ২০-৩০ ফুট গভীর করে ড্রেজিং করে বালু উত্তলনের ফলে জমিটির চার পাশে প্রায় অর্ধশতাধীক ফলসী জমি ভাঙন হুমকির সম্মূক্ষিন হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি জমির মালিকগণের সাথে আলাপ করে জানা যায়, হোতার চকের কৃষি জমিগুলোতে শুকনো মৌসুমে আলু এবং বর্ষা মৌসূমে ধান আবাদ করা হয়। এখন বর্ষা মৌসূম। এসময় ওই চকের সব জমিতেই বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। জমির মালিক হানিফ তালুকদার তার জমিতে ড্রেজার বসিয়ে ২০-৩০ ফুটি গভীর করে বালু মাটি উত্তলন করছে এবং ড্রেজিংয়ের ফলে ধীরে ধীরে গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাতে করে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ওই জমির পার্শ্ববতী জমির মাটি ভাঙন ধরবে। শুকনো মৌসুমে সেসব জমিতে ফসল আবাদ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মূক্ষিন হতে হবে কৃষি জমির মালিকদের।

স্থানীয়রা আরো জানায়, ওই এলাকার মাসুদ রানা নামে প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় কৃষি জমির ক্ষতি করে দাপটের সাথে ফসলী জমি থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তলন করে বিক্রি করছে ড্রেজার মালিক হানিফ তালুকদার। এতে ওই এলাকার অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মূক্ষিন হওয়া স্বত্বেও তার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। আগামী ৩-৪ মাস ওই জমির মালিক তার অন্যান্য জমি থেকে বালু উত্তলন করে বিক্রি করবে বলে জানান স্থানীয়রা।

এ ব্যপারে জমির মালিক হানিফ তালুকদারের মুঠোফোনে বারংবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনার মাধ্যমেই আমি প্রথম জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে আইনানূগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :