শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট, পূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রয়োজনীয় ডাক্টার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ এলাকার মানুষ। এছাড়া হাসপাতালটিতে ভর্তি থাকা রোগীদের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকাসহ পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের রোগিদের জন্য ব্যাবহারকৃত টয়লেট গুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স¦াস্থ্য সেবা নিতে আশা রোগী ও তাদের স্বজনদের।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছাকাছি এলাকায় ১৯৭৮ সালের ১৯ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নির্মিত ৩০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটির শুভ উদ্ধোধন করেন। পরে ২০১২ সালে নতুন ভবন নির্মানের ফলে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় ডাক্টার ও জনবল না থাকায় পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
হাসপাতালটিতে ১০জন ডাক্টারের প্রয়োজন হলেও গাইনি,শিশু, মেডিসিন ও এনেস্টশিয়ান মিলে রয়েছে ৪ জন ডাক্টার। অপরদিকে নৈশ প্রহরী,সুইপার নিয়োগ না থাকায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে,স্বাস্থ্য সেবানিতে আসা জটিল রোগীদের পুরাতন ভবনটিতে ভর্তি রাখা হয়। ভবনটি পুরাতন বিধায় রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় পানিয় পানের সরবরাহ লাইন অকেজো থাকায় অন্যস্থান থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করতে হয়। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মি না থাকার ফলে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের রোগিদের জন্য টয়লেট গুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা গ্রহিতাদের। এ ছাড়াও অপারেশন থিয়েটারটি কার্য্যকর থাকলেও অর্থপেডিক, হৃদরোগ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্টার না থাকার কারনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতসহ অন্যান্য জটিল অপারেশনের সেবা দিতে পারছেনা হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তবে মহামারি করোনায় মাত্র ৪ জন ডাক্টার,সিমিত সংখ্যক লোকবল নিয়ে এ এলাকার রোগিদের সেবা সহ কোভিট ১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ সেবা দিয়ে যাচ্ছে নিরলস ভাবে ।
এবিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল হক জানান, এ হাসপাতলটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও ডাক্টার সহ প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ১০ জন ডাক্টারের বিপরিতে রয়েছে মাত্র ৪ জন। এই সিমিত সংখ্যক লোকবল নিয়ে এই করোনা মহামারিতেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে পুরাতন ভবনটির কাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে রোগীদের সেবা দিতে কোন সমস্য হবে না।