শ্রীনগরে হাঁসাড়া খাল দখল করে ঘর নির্মাণ

শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়ায় খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। হাঁসাড়া বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন দোকান ঘরটি তোলা হচ্ছে। ওই এলাকার মরহুম জাবেদ আলীর শ্যালক মো. আরশাদের সহযোগীতায় খাল দখল করে ঘরটি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, কাঠ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বিভিন্ন গাছের গুরি ও ডালপালা যত্রতত্রভাবে প্রধান রাস্তার উপরে রেখে কাজকর্ম করছে। ব্যস্ততম সড়কটিতে যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে করাত কলের ধূলাবালি ও ময়লা উড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসসে। এতে পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, হাঁসাড়া-বাড়ৈখালী সড়কের হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য পূর্বদিকে বেইলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে গুরুত্বপূর্ণ খালটির প্রায় ৩০-৩৫ ফুট গভীর উঁচু করে বড় আকারের একটি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণাধীন ঘরটির সামন দিকে খালের কিছু জায়গা মাটি ভরাট করা হয়েছে। লক্ষ্য করা যায়, ৪/৫ জন শ্রমিক ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। তারা জানান, পার্শ্ববর্তী করাত কলের মালিক মো. আইযুব আলীর কাছ থেকে কাজের চুক্তি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গার মালিক আমি না। আমি ভাড়াটিয়া। খালের জায়গা ব্যক্তিমালিকা হয় কিভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রকৃতমালিক জাবেদ আলী মারা গেছেন। তার ওয়ারিশগণ দেশের বাহিরে থাকেন। তার শ্যালক আরশাদ এসব জায়গা জমির দেখভাল করেন। আপনারা তার সাথে কথা বলেন। রাস্তায় গাছের গুরি ও অন্যান্য মালামাল রাখার বিষয়ে তিনি কোন সুদত্তোর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে আরশাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ঘরটির পাশেই আমাদের লীজকৃত জায়গায় দোকান ঘর ছিল। সেতু নির্মাণের জন্য ঘরটি ভেঙ্গে অন্যত্র তোলার জন্য ঠিকাদার আমাদেরকে টাকা দিয়েছেন। তাই ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি। লীজের গ্রহিতার নামে ওই জায়গার হালনাগাদ কাগজপত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি সব থাকার দাবী করলেও কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। এ সময় তিনি ইউপি সদস্য রনির বরাত দিয়ে বলেন, মেম্বার সব জানেন।
হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতু নির্মাণের স্বার্থে ঠিকাদার দোকান ঘর সরানোর জন্য তাদেরকে কিছু টাকা দিয়েছেন। তবে খালের ওই জায়গা তাদের লীজকৃত কিনা আমি সঠিক জানি না।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।