শ্রীনগরে বালাশুর-মাওয়া ও ভাগ্যকুল-কামাড়গাও সড়কের জরাজীর্ণ অবস্থা

শ্রীনগর উপজেলার বালাশুর-মাওয়া সড়ক যথা সময়ে সংস্কার কাজ না করায় এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।এদিকে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বালাশুর চৌরাস্তা-ভাগ্যকুল হয়ে মাওয়া যাওয়ার সড়কটির ওয়াপদা বারো পাখি অংশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।কয়েক দিন টানা মৌসুল ধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়কে থাকা গর্তগুলোতে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভাগ্যকুল বাজারে আসা ক্রেতা,বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি ও যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা।
শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার কাজ করে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভাগ্যকুল এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে বেহাল রাস্তায় চলাচল করা খুব কষ্ট।এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে অনেক অটোরিকশা শ্রমিক এই জরাজীর্ণ রাস্তায় অটোরিকশা চালায় এবং প্রতিনিয়ত কোন না কোন দূর্ঘটনা স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের।
ভাগ্যকুলের স্থানীয় একজন জানান সড়কের গর্ত গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার ফলে যাতায়াতের অনেক সমস্যা হচ্ছে তাদের।ভাগ্যকুল বাজারে প্রবেশ করতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ভাগ্যকূল বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, শ্রীনগর উপজেলার মধ্যে অন্যতম বাজার ভাগ্যকুল বাজার। আমাদের বাজারে ঢোকার রাস্তার বেহালদশা, আমরা ঠিক ভাবে মালপত্র আনা নেয়া করতে পারছি না এবং বাজারের ভেতরকার রাস্তার বেহাল দশার ফলে ক্রেতা শুন্য বাজারি এক হিসেবে বলা চলে।
অপরদিকে ভাগ্যকুল থেকে কামাড়গাও হান্নুর দোকান ও মাঠপাড়া থেকে কামাড়গাও জিপস্ট্যান্ড পর্যন্ত পিচ ঢালাই সড়কের বেহাল দশা।দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার কাজ না করার ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এতে বৃষ্টির পানি জমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যক্তিদের।
এছাড়াও ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের পেছনের রাস্তার ও অবস্থা বেহাল। নিম্নমানের মালামাল দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করায় দু-এক বছরের মধ্যে পিচ ঢালাই রাস্তা বিলিন হয়ে গিয়ে মাটির রাস্তায় পরিনত হয়েছে। যা এখন নতুন করে ইট বিছাতে দেখা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বালাশুর থেকে মাওয়া যাওয়ার রাস্তাটি বেরি বাধেঁর রাস্তা, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তা এটাতে আমরা চাইলেও কিছু করতে পারি না।এক বছর আগে মেরামত হয়েছে আরো কিছুদিন পরে এটা সংস্কার হবে।ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের পেছনের রাস্তা ও মাঠপাড়া থেকে হান্নুর দোকান পর্যন্ত রাস্তার বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহাদাৎ জানান, ওই রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে খুব শীঘ্রই কাজ শেষ হবে।