শ্রীনগরে চাঁদা না দেয়ায় রাস্তা সংস্কারে বাধা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদা না দেয়ায় রাস্তা সংস্কারের সরকারি বরাদ্দের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোলাম কিবরিয়ার ছেলে তিলক রায়হানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মধ্য কামারগাও এলাকায়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কামারগাও ভাগ্যকুল ও মাঠপাড়া গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় চলতি অর্থবছরে রাস্তাটি সংস্কারের বরাদ্দ দেয় এডিবি।
জানাযায়, উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মধ্য কামারগাঁও পাকা সড়ক সংলগ্ন হান্নান শেখের বাড়ি থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২৪০ ফুট রাস্তা এডিবির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া। এতে তিলক রায়হান বাধা প্রদান করে ও মোট অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে।যার অভিযোগ এলাকাবাসী করেছে।
স্থানীয় সুমন হাওলাদার বলেন, গত প্রায় ৪০ বছর আগে আমাদের যাতায়াতের রাস্তাটি সরকারি ভাবে নির্মাণ করে দেয় সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন। পরবর্তীতে আরো দুইবার সরকারি বরাদ্দের রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। এবছর রাস্তাটি নতুন করে সংস্কার করতে গেলে। তাতে বাধা প্রদান করে তিলক রায়হান, দিপু খান ও রকি খান। তারা দলবল নিয়ে এসে রাস্তার কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করে।আমরা রাস্তায় প্রথম যেদিন বালু ফেলি সেদিন তাদেরকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। এখন তারা আরও চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
শেখ ইউসুফ বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের রাস্তার কাজ করে দিচ্ছে।এখানে তিলক রায়হান এসে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে রাস্তায় কাজ বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। দিপু খান ও তিলকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন এসে রাস্তা কোপাতে শুরু করে। এলাকা বাসি এসে প্রতিবাদ জানালে তারা চলে যায়।
তিলক রায়হান বলেন, আমার উপর আনা আভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর দিয়ে তারা রাস্তা নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাতে বাধা প্রদান করতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আর চেয়ারম্যান সাহেব বলে আমার ব্যক্তিমালিকানা জায়গা রাস্তায় দিয়ে দেয়ার জন্য।সে আমাকে আমার জমির পাশে সরকারি খালের যায়গা দিয়ে দিবে।
ভাগ্যকুল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত বলেন, ১৯৯২ সালে সরকারিভাবে মাটি ফেলে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে রাস্তাটি আবার সংস্কার করা হয়েছে। এবছর রাস্তা সংস্কার করতে গেলে কিবরিয়া সাহেবের ছেলেরা সেখানে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করছে।
শ্রীনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। এখানে ব্যক্তিগত রাস্তার ওপরে রাস্তা নিয়ার কথা উল্লেখ আছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখব। ঘটনাটি সত্যি হলে আমরা বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করব। মীমাংসার না হলে বরাদ্দটি বাতিল করে দেয়া হবে।