শ্রীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহায়ের জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগ

শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ বারেক খান বারীর বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারের জমি দখল করে বিক্রি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।চেয়ারম্যান স্হানীয় ভূমিদস্যুদের সাথে নিয়ে ভোয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদানের মাধ্যমে মোকশেদ,আনোয়ার,মনোয়ারদের পিতৃক সম্পক্তি ১৬ লাখ চার হাজার টাকায় বিক্রয় করে দেন।এ ঘটনায় প্রতিকার চাইতে গিয়ে হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন প্রকৃত মালিকগন।রাঢ়িখাল ইউনিয়নের হাতার পাড়া সাবেক ১০৩ হালে ৫৯ নং মৌজার খতিয়ান সিএস ৩৪৩, এস এ ২৬৯, আর এস১০৬ নং খতিয়ানভুক্ত দাগ নং সিএস ও এসএ ৬৫৯ ,আর এস ৮৩৩ নং দাগের মোট ১৫ শতক জমির মালিক মৃত মান্নাফ বেপারী। মান্নাফ বেপারীর ৩ পুত্র ১,আনোয়ার,মনোয়ার, মোকশেদ ও এক কন্যা। গত ৪/০৩/২০১৮ মোঃ জাহিদ নামে এক ব্যক্তি কে মান্নাফের এক মাত্র পুত্র দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন চেয়ারম্যান।জমি জালিয়াত চক্রের সদস্য জাহিদ ওয়ারিশ সনদ বলে গত ২৯/৮/২০১৬ সালে শ্রীনগর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস হতে ৬২৩৪ নং দলিলে মোঃ সাদেক দেওয়ান পিতা, মৃত মমিন দেওয়ান নামে এক ব্যক্তিকে ১৫ শতক জমির অ প্রত্যাহার যোগ্য আম মোক্তার নামা প্রদান করেন।আম মোক্তার দাতা ও গ্রহিতা সকলেই প্রতারক চক্রের সদস্য। কথিত ওয়ারিশ জাহিদ ও আমমোক্তার সাদেক ১৫ শতক জমি হতে ৯,৫০ শতক জমি মোঃ মনির হোসেনে পিতা,মৃত মোঃ মজলিশ খান,বেপারী বাড়ি,হাতারপাড়ার নিকট ১৬,০৪০০০ টাকায় বিক্রী করেন।
ভূয়া মালিকদ্বয় বারেক চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রাঢ়িখাল ভূমি অফিস হতে মনিরের নামে নাম খারিজ করিয়ে দেন। এ দিকে জমির প্রকৃত মালিক মন্নাফের পুত্র মোকশেদ জমি বেচা বিক্রীর বিষয়টি জানার পর কয়েক দফায় চেয়ারম্যান কে অবগত করলেও তিনি তা আমলে নেননি।নিরুপায় মোকসেদ রাঢ়িখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিস কে মনিরের নামে নামজারী করা থেকে বিরত থাকতে লিখিত আবেদন করলেও কোন কাজে আসেনি। অনুসন্ধানে জানা যায়,জাহিদ,সাদেক চেয়ারম্যানের জমি জাল জালিয়াতির সহকর্মী।১৫ শতক জমির ৯,৫০ শতক মনির দেওয়ানের নিকট বিক্রয় করলেও বাকি ৫,৫০ শতক জমি শহিদুল নামে আরেক প্রতারকের দখলে থাকায় সম্পূর্ণ জমি বিক্রী করতে পারেনি চেয়ারম্যান চক্র।জমির মালিক মন্নাফ পুত্র মুকশেদ বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দিনাজপুরে বসবাস করছি, এ সুযোগে বারেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চক্রটি আমার জমি দখলে নেয়,আমরা বিষয়টি জানার পর বার বার চেয়ারম্যান কে জমি ফিরিয়ে দিতে বলি কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। তৎকালীন রাঢ়িখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব বর্তমানে সিংপাড়ায় কর্মরত মোঃ ইমাম হোসেন নামজারীর বিষয়ে বলেন, এমন কিছু হয়নি,এমন কিছু হইতেই পারেনা। এ ব্যপারে সাদেকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই বলতে পারবোনা,যা কিছু হয়েছে সবই চেয়ারম্যান জানে। রাঢ়িখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারী বলেন,আমি জাহিদ,সাদেকদের চিনিনা,এখন মনে পড়ছেনা,ভূলে ওয়ারিশ সনদ দিয়ে থাকতে পারি।