শ্রীনগরে অতিখরায় জমিতে বীজ বপনে দুশ্চিন্তায় কৃষক

আরিফুল ইসলাম শ্যামল
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:২৮ PM, ১১ এপ্রিল ২০২১

অতিখরার কারণে আবাদি জমিতে বীজ বপনে দুশ্চিন্তায় কৃষক। এ মৌসুমে এখনও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে করে বাধ্য হয়েই দুই ফসলী শতশত হেক্টর কৃষি জমিতে বীজ বপন নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কৃষকের। কাঠ পুড়ানো রোদে ও প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। অতিখরায় কৃষি জমির মাটিও যেন শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমির আলু উত্তোলনের পর পরই বোরো ধান, তিল, পাটসহ অন্যান্য কৃষি আবাদ করা হয়। তবে এবছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন।

দেখা গেছে, এখানকার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ দুই ফসলী জমিতে এখনও চাষাবাদের অপেক্ষায় আছে।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, মৌসুমী বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় কৃষক বোগান্তিতে পরেছেন। জমিতে বীজ বপনে বিলম্বনায় পরেছেন। এতে করে এসব আবাদি জমিতে আগাছা ও জঙ্গলে ছেঁয়ে যাচ্ছে। আবার চাষাবাদে সময়ও চলে যাচ্ছে। অনেকেই অতিরিক্ত খরচ করে শ্যালো ইঞ্জিনে পানি সেচ করে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপনসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করছেন। বৃষ্টির অপেক্ষায় আটপাড়া, তন্তর, বীরতারা ও কুকুটিয়া এলাকায় দুই ফসলী অনেক জমিতে এখনও পাট ও আমন ধানের বীজ নিয়ে কৃষকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এসময় কৃষক হারুন মিয়া, আলম হোসেন, শিমুলসহ অনেকেই বলেন, গত কয়েক মাস যাবত বৃষ্টি না থাকায় এই অঞ্চলের জমিতে আলুর ফলন কম হয়েছে। আলু উঠানোর পরে এসব জমিতে অন্যান্য ফসলের বীজ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তারা বলেন বৃষ্টির দেখা নেই। আবাদি এসব জমির মাটিতে রস নেই। কাঠ পুড়া খরায় জমির মাটি শুকিয়ে কয়লা হয়ে আছে। এই অবস্থায় জমিতে বীজ বপন করলে বীজ ফুঁটবে না। জমিতে পাট, আমন ধানের বীজসহ অন্যান্য বীজ বপন করবেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে তারা বীজ ছিটানোর কাজ করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির দেখা না পেলে বাধ্য হয়েই এসব জমি পতিত ফেলে রাখতে হবে। এমনটাই জানান তারা।

আপনার মতামত লিখুন :