শিমুলিয়ায় মোটরসাইকেল ও যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৩৭ PM, ৩০ এপ্রিল ২০২২

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদযাত্রায় গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের চাপ ব্যাপক হারে বেড়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি ফেরিই শুধুমাত্র মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়েই নদী পার হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ নৌরুটে সকাল থেকেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সে সাথে মোটরসাইকেলের চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। তবে বিগত দিনের চেয়ে যানবাহনের চাপ কম রয়েছে এ নৌরুটে।

শনিবার সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি সার্ভিস বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৮৭ টি লঞ্চ ও ১৫৫ টি স্পিডবোট ঘাটে নোঙ্গর করার সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। সে সাথে ১০টি ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে শনিবার যানবাহনে চাপ কম দেখা যায়। এ ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন হাজার মোটরসাইকেল ও প্রায় চার শতাধিক যানবাহন। ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকায় যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

এদিকে লঞ্চ ঘাটেও যাত্রীদের চাপ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। শিমুলিয়া থেকে যাত্রী বোঝাই করে বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি ঘাটে যাচ্ছে লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো। পরে ঘাটে নেমে যাত্রীরা ঘরে ফিরছে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে।
খুলনা গামী যাত্রী শওকত জামান বলেন, ঘাট এলাকায় শৃঙ্খলা কিছুটা ভালো থাকলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। বাড়তি ভাড়া দিয়ে আসতে হচ্ছে ঘাট এলাকায়। সে সাথে মাওয়া চৌরাস্তায় বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। ফলে প্রচন্ড রোদের মধ্যে রোজা রেখে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আসতে হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটে।

মোটরসাইকেল যাত্রী মাঈনুল ইসলাম রাজন বলেন- এই ঘাট দিয়ে বড় কোন যানবাহন পারাপার হয় না। তাই মিরপুর থেকে সোজা এখানে চলে আসছি। তিনি বলেন পাটুরিয়া ঘাটে সব ধরনের যানবাহন পারাপার হয়। এতে ভোগান্তি বেশি হয়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (আইসি) জিয়াউল হায়দার জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য ঘাটে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

 


বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের অত্যাধিক চাপ রয়েছে। তবে আমাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পারাপার চলছে। ঘাটে তিনশ’ পিকাপ রয়েছে, তবে এখন সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে না। যাত্রী, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ফেরিঘাটগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় তিন হাজারের বেশি মোটরসাইকেল এবং চার শতাধিক প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, যাত্রীর চাপ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। যাত্রী পারাপারের ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট রয়েছে। সে সাথে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি চালাচ্ছি। যাতে যাত্রীর দুর্ভোগ না হয়।

আপনার মতামত লিখুন :