লৌহজংয়ে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে চাপা উত্তেজনা, বড়ো ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা

লৌহজং উপজেলায় মসজিদ নির্মাণের জন্য গঠিত কমিটিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিন জনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড়ো ধরনের সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয় থানা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও ভরসা পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারা।
জানা যায়, চলতি মাসের ৪ তারিখে খিদিরপাড়া ইউনিয়নের বঙ্ক্ষীরা গ্রামের জামে মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কমিটি গঠন করা নিয়ে ওইদিন জুমার নামাজ শেষে দুপক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। এতে একপক্ষ অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিরোধী পক্ষের ৭/৮ জনকে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহতদের মধ্যে সিরাজ হাওলাদার, বারেক হাওলাদার ও আক্কাস হাওলাদারের অবস্থা গুরুতর।
প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে আহত সিরাজের ডান চোখের পর্দা ছিড়ে গেছে। প্রথমে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিরাজের চোখে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। এখনও তাঁর চোখের অবস্থা ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন সিরাজ। এছাড়া বারেকের মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে। আর আক্কাসের ডান পায়ে ও কপালে রডের জখম রয়েছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল মিয়া জানান, স্থানীয় নব্য ধনী শহিদুল ইসলাম রনির ইন্ধনে খিদিরপাড়া গ্রামের রমজান বেপারী, বঙ্ক্ষীরা গ্রামের আবুল ফকির, মোকসেদ, সেন্টু ও মিজানুর এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন সাধারণ মুসলমানদের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭/৮ জন আহত হন। হামলার বিষয়ে শহিদুল ইসলাম রনিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। তাছাড়া আমি গত দুই মাস ধরে এলাকায় যাই না।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে আহত সিরাজ বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।