লৌহজংয়ে অটোচালককে গলা কেটে হত্যা, আটক-৮

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অটোরিকশা চালক মো. আশরাফুল ইসলাম (৩০) হত্যার ঘটনায় মূল জড়িতসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর আগে মাটিতে হাসান ও রাজা নামে দুই আসামির নাম লিখে যায় নিহত আশরাফুল। সেই লেখার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করা হয়েছে।
আশরাফুলের বাড়ি জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নে। তার বাবার নাম মো. রফিক শেখ। আশরাফুলের স্ত্রী ও ছয় মাস বয়সী একটি কন্যাশিশু আছে।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতরা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আটক আসামিরা হলো- মো. রুবেল (২৯), মো. আকরাম মোল্লা (২১), হাসান (২২) ও মো. রাজেনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত আমির বেপারী (৪০), ইমরান ওরফে তোফায়েল (৪০), সবুজ শেখ (৩০), কাজল শেখ ( ৩১)।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুর ১টায় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা হতে অটোরিকশা চালক আশরাফুল ইসলাম রুবেল ও নাসিরকে নিয়ে লৌহজং উপজেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে শ্রীনগর থানাধীন বেজগাঁও ফেরিঘাট নামক এলাকা হতে হাসান ও রাজেন অটোরিকশায় উঠে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লৌহজং থানার গোয়ালীমান্দ্রা হতে হলদিয়ার মাঝামাঝি চানখঁার পুলের নিকট পৌঁছালে আসামিরা চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে। আশরাফুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এরপর স্থানীয়রা তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও জানা যায়, প্রথমে পুলিশ আসামি হাসানকে শ্রীনগরের বাঘড়া গ্রাম থেকে আটক করে। এরপর রুবেল, রাজেন ও আকরামকে আটক করা হয়। অটোরিকশাটি কয়েক দফায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই চক্রের সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ আমির বেপারী, ইমরান, সবুজ শেখ ও কাজল শেখকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুটি আসামি রুবেলের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশে খাল হতে উদ্ধার করা হয়েছে।