লৌহজংয়ে গাঁওদিয়া-শামুর বাড়ির রাস্তার বেহাল দশা

লৌহজংয়ে সংস্কারের অভাবে বেহাল উপজেলা গাঁওদিয়া ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড গাঁওদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে শামুরবাড়ী ইউনুছ খান মেমোরিয়াল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। প্রায় ২কিলোমিটার রাস্তাটি চরম বেহাল দশা। গোটা রাস্তায় পিচের আস্তর উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে ওই সব গর্তে পানি জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা মো:আয়নাল মাদবর, মো:ফারুক ঢালী, মো:তারা মিয়া এ রাস্তায় যাতায়াত করাই দুষ্কর।
গুরুত্বপূর্ন হাড়িদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,বাজার এবং কলেজ,শামুরবাড়ী নদীর সান্নিধ্য পেতে রাস্তাটি পাশেই। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কমবেশী ৫ হাজারের ও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা,খানাখন্দে ভরপুর এ রাস্তাটিতে হরহামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। ১নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মোঃ তোবারক ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চেয়ারম্যান কাছে গিয়ে রাস্তার বিষয়ে কোন সাহায্য পাইনি।
অথচ এই রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন তাই এই রাস্তা উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার বাসিন্দা।।এই খানাখন্দে নিয়ে প্রতিবেদন কালে অটোবাইক চালক মো:ইসমাইল ব্যাপারী বলেন, রাস্তায় গাড়িতে যাত্রী নিয়ে সর্তক না হয়ে চললে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অনেক সময় বিপরীত পাশে আসা গাড়ি পাশকাটিয়ে যাওয়ার সময়,রাস্তার পাশে গর্তে চলে যায়।এ কারণে অনেক সময় এ রাস্তায় গাড়ি থাকে না, ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।বিশেষ করে রিশকা চালকদের অনেক ঐ পথে রিকশা নিয়ে যেতে চায় না। সব চেয়ে বেশী ভোগান্তি পরে ঢাকা থেকে আসা মানুষ গুলো।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মো:মিজান হাওলাদার দায়িত্ব নেওয়া পর এই ইউনিয়ন অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নয় এবং দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন।