লৌহজংয়ের হাট নওপাড়া বাজার এলাকা মাদকসেবী ও কারবারিদের অভয়াশ্রম

লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের হাট নওপাড়া বাজারের আশপাশ এলাকায় বিশেষ করে নওপাড়া বাজার পোস্ট অফিস, নওপাড়া কোল্ড স্টোরেজে ও উদয়ন কোল্ড স্টোরেজের এলাকায় মাদকসেবী ও বিক্রেতারা নিরাপদ আশ্রয় মনে করে থাকেন। প্রায়ই এসব এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যসহ হাতেনাতে মাদক বিক্রেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেন। গত মাসের শেষের দিকে র্যাব ১১ নওপাড়া পোস্ট অফিসের সামনের থেকে মৃত ছাতু মীরার ছেলে মোঃ মান্নান মীর (৭০) কে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। গত বুধবার নওপাড়া বাজার থেকে লোহজং থানা পুলিশ গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরা হলেন শ্রীনগর উপজেলার উত্তরগাঁও গ্রামের মৃত মোঃ ইকবাল শিকদারের ছেলে মোঃ ইমরান শিকদার ও রহিম শেখের ছেলে মোঃ শাহদাত শেখ ।
এলাকাটি তিন থানার মোড় হওয়ার কারণে মাদক কারবারিরা এই জায়গাটাকে বেছে নিয়েছেন বলে অনেকেই ধারণা করেন। শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার শেষ প্রান্ত হওয়ায় ওইসব এলাকার মাদক কারবারিরা লৌহজংয়ের হাট নওপাড়া বাজার এলাকায় মাদক কেনাবেচা সুবিধা মনে করে থাকেন। অধিকাংশই মাদকসেবী ও মাদক কারবারি শ্রীনগর উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জানান, শ্রীনগর থানার উত্তরগাঁও গ্রামের কয়েকজন মাদক কারবারি অত্র এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা না নিলে এই যুবসমাজকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।
বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মোঃশফিকুর রশিদ চৌধুরী পলাশ বলেন, আমরা যথেষ্ট সোচ্চার রয়েছি তবে মাদক কারবারি ও মাদক সেবীরা এতটাই চতুর যে তাদেরকে দমন করা কঠিন হয়ে পড়ে। বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মালেক শিকদার মুন্সিগঞ্জ টুডে কে জানান, আমাদের ইউনিয়নে মাদক কারবারি নেই। শ্রীনগর থানার অন্তর ইউনিয়নের কিছু মাদক কারবারিরা এই এলাকা মাদক বেচাকেনা করে থাকেন। আমরা সোচ্চার আছি বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।