রহস্যজনক কারনে এখনো ব্যবস্থা নেননি আল-আরাফা ইষলামী ব্যাংক কতৃপক্ষ ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ সাইনবোর্ড সাটিয়ে শ্রীনগরে জায়গা দখলের পায়তারা!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর নিকট দায়বদ্ধ সাইনবোর্ড সাটিয়ে শ্রীনগরে জায়গা দখলের পায়তারার অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও রহস্যজনক কারনে এখনো ব্যবস্থা নেননি আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকটির কতৃপক্ষ। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন খানের পুত্র মাইনুর হোসেন খান ওরফে মালন খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবী করেন এই সাইবোর্ডটির বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা বা অবগত নন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামারগাঁও মৌজার ১১৬৭ নং দাগে মোট সম্পত্তির পরিমান ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে ৪৭৯নং খতিয়ানে আর.এস ৩১৩৮নং দাগে আব্দুল লতিফ খানগং ১৩ শতাংশের মালিক এবং তার ওয়ারিশদের ক্রয়সূত্রে ৩ শতাংশের মালিকসহ সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ শতাংশ। অবশিষ্ট সম্পত্তির মধ্যে ১৩ শতাংশ সম্পত্তির মালিক প্রতিবেশী মোয়াজ্জেম ও ১২ শতাংশের মালিক হাবিবুর রহমান খানগং।
ভূক্তভোগী কামারগাঁও এলাকার আব্দুল লতিফ খানের পুত্র রেজাউল করিম খান স্বাধীন জানায়, সম্পত্তি নিয়ে হাবিবুর রহমান খানগং আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা দায়ের করেছেন। যাহার চলমান মামলা নং-২৯৫/৯। আর এ সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বসা হলেও মাইনুর হোসেন খান ওরফে মালন গং তা মেনে নেননি। বরং কয়েকদিন আগে দেখতে পাই আমার এই সম্পত্তির একটি নারিকেল গাছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ ঢাকার নবাবপুর শাখার নিকট দায়বদ্ধ লেখা একটি সাইবোড সাটানো রয়েছে। পরে ওই সাইবোর্ডে থাকা মোবাইল নম্বর (০১৭১৬১১৩৩৯৭) এ যোগাযোগ করা হলে অপরিচিত এক ব্যক্তি বলেন ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে। পরে ঠিকানা অনুযায়ী সরাসরি নবাবপুরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানায়, সাইবোর্ড সাটানোর বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
ভূক্তভোগী স্বাধীন খান আরো বলেন, পরে জানতে পারি প্রতিবেশী মাইনুল হোসেন খান মালন সম্পত্তি দখলের জন্যই সাইবোর্ডটি কৌশলে সাটিয়ে রেখেছেন। এঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ নবাবপুর রোড শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ উল্লাহ জানায়, রহস্যজনক সাইনবোর্ডটির সমন্ধে তারা অবগত নন। তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এধরনের কোন সাইর্বোড ওখানে সাটানো হয়নি। তবে লিখিত ভাবে আবেদন করা হলে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয়ে মাইনুর হোসেন খান ওরফে মালনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, সাইবোর্ডটি তার সম্পত্তিতে টাঙ্গানো হয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা চলামান রয়েছে। সাইবোর্ড সাটানো বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানেন কিনা জানতে চাইলে এমন প্রশেরœ জবাবে মালন খান কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।