মোবারক হোসেনের খুনের ৮ বছর, সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে

তাজুল ইসলাম রাকিব
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৪২ PM, ২২ অক্টোবর ২০২০

লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কাজির পাগলা গ্রামের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মোঃ মোবারক হোসেন খান ।২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে মা ও মেয়ের সামনে খুন হন মোবারক হোসেন। ২০০১ সালে আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল কাদির বাশার তার নিজস্ব অফিসে খুন হয়েছিলেন । সেই মামলার প্রদান সাক্ষী ছিলেন তিনি ।এক বছরের মাথায় তিনিও খুন হন ।তার মামলার পরিচালনাকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম পরের বছর একইভাবে খুন হন। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার পর্যন্ত তাদের ভয়ে মুখ খুলছে না। এমনকি মামলার সাক্ষীরা ভয়ে সাক্ষী দিতে কোট পর্যন্ত যায়না । তারা মনে করে মোবারক হোসেন ও রফিকুল ইসলামের মত পরিণত হবে তাদের । এই মামলার আসামিরা হচ্ছেন, রউফ খান ওরফে খোকার ছেলে শাহাবুদ্দিন খান বাবু, জলিল বেপারীর ছেলে কামরুল ইসলাম বেপারী, রহিম বেপারী , আবু সাঈদ পিতা রহিম বেপারী , মোবাইল কাদের , লরেন্স,লাবু ও সুজন।১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি যার নাম হান্নান। এরা চার্জশিটভুক্ত আসামি।

মোবারক হোসেন খানের মেয়ে ওয়াহিদা খান দিয়া মুন্সিগঞ্জ টুডে কে জানান, লৌহজং থানা থেকে যে চার্জশিট হয়েছিলো সেখানে মাত্র দুই জনের নাম উল্লেখ ছিল। এক নাম্বার এবং দুই নাম্বার আসামী ছাড়া বাকি সবার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিলো। আমি সেখানে চার্জশিট নারাজি দেই ।আমার এডভোকেট প্রতিপক্ষের কাছে বায়েস্ট হয়ে নারাজি হেয়ারিং এর দিন অনুপস্থিত থাকে যার কারণে নারাজি নামঞ্জুর হয়।পরবর্তীতে আমি জজ কোর্টে রিভিশন করি এতে রায় আমার পক্ষে আসে । জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি হয়ে উপরোক্ত আসামিদের আমলে নেয় ।

পরবর্তীতে মামলাটি এডিশনাল জজকোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় চলমান থাকে। কিন্তু এর মধ্যে ৪ জন আসামি তাদের নাম এসটে করে রাখে । যার কারণে তারা মামলা থেকে অব্যাহত আছে।

বেশ কিছুদিন আগে মামলার সাক্ষীর জন্য পরোয়ানা আসে । কিন্তু সাক্ষীগণ কেউই সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেনা ।সবাই নিজের জীবন নিয়ে ভয়ে আছে ।খুনিরা সাক্ষীগণ কে হুমকি দিচ্ছে‌ মোবারক খান সাক্ষী দিতে গিয়ে খুন হয়েছে,। রফিক মামলায় সাহায্য করতে গিয়ে জীবন হারিয়েছে । নিজের জীবনের মায়া থাকলে কেউ সাক্ষী দিবেন না ।তাই কেউ সাক্ষী দিচ্ছে না ।সাক্ষী ছাড়া মামলায় কোন ফল পাওয়া যাবে না”

আপনার মতামত লিখুন :