মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবসে দক্ষিণ পাইকসায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ সাইনবোর্ড স্থাপন

মোঃ জসিম মোল্লা
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:২৯ PM, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে পাক হানাদার এক চুক্তির মাধ্যমে পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দান করেন। চুড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর এর পূর্বে ১১ ডিসেম্বর,১৯৭১ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে এবং বাধার কারনে দিশেহারা হয়ে যখন শ্রীনগর উপজেলা থেকে লৌহজং হয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল তার পূর্বেই শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকসা গ্রামের বর্তমান দক্ষিণ পাইকসা আদর্শ পল্লী উন্নয়ন যুব সমিতি কার্যালয়ের উত্তর পাশে এবং দক্ষিণ পাইকসা ডালু-নান্নু পাঠাগারের উত্তর-পূর্ব পাশে আগে থেকেই খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান গ্রহন করে থাকে। দক্ষিণ পাড় দিয়ে আসা প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি ইপিআর রাজাকারের দল নীরব ভূমিকা পালন করে, পূর্ব পাড় দিয়ে আসা ২৫-৩০ জনের একটি দল পাক আর্মি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লৌহজং যাওয়ার পথে ১৭ ই নভেম্বর,১৯৭১ সালের সকাল আনুমানিক ৯- সাড়ে ৯ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদল প্রথমে লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামের কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, মোবারক হোসেন মকবুল, কাজিরপাগলা গ্রামের শেখ ফরহাদ হোসেন এবং শ্রীনগর উপজেলার কেয়টচিরা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন আক্রমণ করলে পাকহানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে যায়, লৌহজং যুক্তিযোদ্ধাদলের নেতৃত্বে ছিলেন কাজীর পাগলা গ্রামের সোলায়মান তার নেতৃত্বে যুদ্ধের সময় কোলাপাড়া থেকে আতিকুল্লাহ খাঁন মাসুদের নেতৃত্বে একটি মুক্তি বাহিনী যুক্ত হলে হানাদার বাহিনী অপরিচিত জায়গায় দিশেহারা হয়ে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যাবার সময় মুক্তি বাহিনী এবং স্থানীয় জনতার আক্রমণে পরাজয় বরণ করে। মুক্তিযোদ্ধের ৪৯ বছর পরে ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রি. মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবসে শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাইকসা গ্রামের সম্মূখ যুদ্ধের স্থানে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠন আদর্শ পল্লী উন্নয়ন যুব সমিতির উদ্যোগে বিকাল ৫ ঘটিকায় নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্থম্ভের সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। সাইনবোর্ড স্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ রাশেদুল ইসলাম খাঁন রোমান, সভাপতি মাঝি আলমগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুজন- মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাসুম খাঁন ডালু, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খাঁন পান্নু, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠক, ফ্রেন্ডস সমাজকল্যাণ সংসদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম মোল্লা, ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বুলেট, কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল, শিল্পী বেগম, সংগঠনের অসিম খন্দকার, এমদাদ আলী সেন্টু মাষ্টার, সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে অভিভাবক সদস্য আজিম খাঁন, ছাত্রনেতা ইমন হাসান, পরশ খাঁন, শরীফ প্রমূখ।

আপনার মতামত লিখুন :