মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেই সামাজিক দুরত্ব

মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেই সামাজিক দুরত্ব। ইমার্জেন্সীতে জরুরি সেবা নিতে আসলে সেখানে রোগীর সাথে আসা স্বজনদের ভিড়ে ডাক্তার ও নার্সদের খুঁজে পাওয়া যায়না। রোগী বা রোগীর স্বজনরা কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ মানুষের নেই মাস্ক। আবার যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন তারা মাস্ক মুখে না পড়ে থুতনিতে ঝুঁলিয়ে কেউবা পকেটে রেখেছেন। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে করোনায় আক্রান্তের ঝঁুকি বাড়ছে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালটির বহির্বিভাগে থাকে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। নিচ তলায় ইমার্জেন্সী রুম, বহির্বিভাগ এবং ২য় তলার মেডিসিন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রুমের সামনেও থাকে রোগীদের ভিড়। চিকিৎসকরা রুমের ভিতরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করলেও রুমের বাইরে গাদাগাদি করেই রোগীরা দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ লাইনে। হাসপাতালের ভিতরে শিশু, বৃদ্ধরা অনেকেই মাস্ক ছাড়া বসে আছে চিকিৎসা সেবা পেতে। প্যাথলজি বিভাগ এবং বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ বিভাগেও মানুষের গাদাগাদি। হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা ঘন্টায় একশোর বেশি রোগী দেখেন। রোগীদের মুখ থেকে কোন রকম রোগের বর্ণনা শুনেই নামমাত্র চিকিৎসা দিয়ে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, মৌখিকভাবে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যার ঘোষণা দেয়া হয় অনেক বছর আগে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরেও ১০০ শয্যার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চালানো হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। এছাড়াও নতুন ভবনের কাজ সম্পূর্ন হলেও অদৃশ্য কারনে চালু হয়নি। হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের প্রানঘাতী করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝঁুকি বাড়ছে। দ্রুত ভালো চিকিৎসা সেবা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ। এছাড়াও মাস্ক ছাড়া সেবা নয় বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরী।