মুন্সীগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের আগে, নৌকাসহ ব্যানার-ফেস্টুন করে নির্বাচনী প্রচারণা

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. রিপন পাটোয়ারীর নৌকা প্রত্যাশী ব্যানার-ফেস্টুন। স্হানীয়রা জানায়, তফসিল ঘোষণা হয় গত ১৪ অক্টোবরের এর পর থেকে ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকায় পাচ্ছে সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নৌকার ছবি সম্বলিত ব্যানার। এতে করে অন্য প্রত্যাশী প্রার্থীর সমর্থকদের ভীতি চলে আসছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ইউনিয়নটির রাজার চর, চরডুমুরিয়া বাজার এবং মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সামনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিপন পাটোয়ারী নির্বাচনী প্রচারনার ব্যানার-ফেস্টুন ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। ব্যানার- ফেস্টুনে নৌকার প্রতীক ব্যবহার করেছেন। নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, প্রতীক বরাদ্ধের আগে, এমন ব্যানার ফেস্টুন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করেছে।
ইউনিয়নটির সম্ভাব্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহাসিনা হক কল্পনা জানান, রিপন পাটোয়ারীসহ তারা ১২ জন জেলা আ.লীগের কাছে নৌকা প্রতীকের জন্য আবেদন করেছেন। ১২ জনের মধ্যে শুধু রিপন পাটোয়ারী নৌকাসহ ব্যানার-ফেস্টুন করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পক্ষে কাজ করতে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ব্যানার ফেস্টুনের বিষয়ে রিপন পাটোয়ারী বলেন, আমাদের ইউনিয়ন থেকে ১২ জন নৌকা প্রতীকের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে আমি একজন। মানুষকে জানানোর জন্যই ব্যানার-ফেস্টুন করেছি। নৌকা সমর্থন ও দোয়া চেয়েছি। এতে নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন হওয়ার কিছু নেই। প্রতীক বরাদ্ধ হওয়ার পর অন্য কেউ নৌকা প্রতীক পেলে, সে ক্ষেত্রে ব্যানার-ফেস্টুন নামিয়ে রাখবো।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানান , প্রতীক পাওয়ার আগে কোন অবস্থাতে, কোন প্রার্থী ব্যানার-ফেস্টুন করে প্রচার প্রচারণা করতে পারবে না। এটি আইন পরিপন্থী। যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ঈদ, পূঁজা উপলক্ষে ব্যানার ফেস্টুন করেছেন, সেই সাথে যারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার জন্য ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়েছেন সবাইকে সেগুলো উঠিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে যদি কেউ তা না সরায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।