মুন্সিগঞ্জে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি, ২য় দফায় বন্যার আশঙ্কা

কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উওরবঙ্গের পানি ও সমুদ্রে নিম্নচাপের কারনে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির কারনে মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আবারোও অবনতি হচ্ছে। বিগত কিছুদিন মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন পদ্মা ও অন্যান্য নদীতে পানি কমলেও আবারো বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। গতকাল শুক্রবার জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোডের্র তথ্য জানা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে পানি আসছে আবার সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে পানি নামতে পারছে না, পানি ধীর গতিতে নামছে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি জোয়ার হচ্ছে, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে জেলায় আবারা পানি বাড়ছে। এখন স্বাভাবিক বর্ষার সমান উচ্চতায় পানি বিরাজ করছে। তবে পানি এভাবে বাড়তে থাকলে ২য় দফা বন্যা হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুসারে এবারের বন্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার ৪৪টি ইউনিয়নে ৩১৯টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে ৪২ হাজার ৫৮৩টি পরিবার। তবে পানি কমে যাওয়ায় এখন অনেক এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এখনো লৌহজং উপজেলায় ৮১টি পরিবার ও শ্রীনগর উপজেলায় ৫২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। উল্লেখ্য, বন্যার সময় জেলায় মোট ৩৪৩টি পরিবার ৪৪টি আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও পানি কমায় ২১০টি পরিবার বাড়ি ফিরে গেছে।
জেলা কৃষি অফিস ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলায় বন্যায় মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। আর ২৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মৌসুমী ফসল নষ্ট হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা কবলিতদের জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দ হয়নি। তবে লৌহজং এলাকায় কিছু বরাদ্দের প্রাথমিক পরিকল্পনা চলছে। জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ৫৩৭ মেট্রিকটন চাল ও ৫ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৫ লক্ষ, গো খাদ্যের জন্য ১১ লক্ষ ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ২য় দফা বন্যা হলে ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তাই মুন্সীগঞ্জের জন সাধারনের প্রত্যাশা ক্ষতি ও দূর্ভোগ কমাতে কৃর্তপক্ষ অগ্রিম সর্তক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।