মাদক কারবারীর রামদার কোপে গুরুতর আহত মিশুক চালক

মুন্সীগঞ্জ শহরের বৈখর এলাকায় মাদক কারবারির হামলায় মিশুক চালক রক্তাক্ত জখম। গুরুতর আহত আলমগীর (২৭) কে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। মাদক কারবারি বাবু সরকার নিজের শরীর নিজে রক্তাক্ত জখম করে বোন শিউলিকে নিয়ে থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে আহতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসে।
পরবর্তীতে বৈখর এলাকার সাধারণ জনগণ আটকিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১১টার সময় রনছ পুলের পূর্ব পাশের বৈখরের প্রবেশ পথের বালুর মাঠে।
স্থানীয়রা জানায়, গরু জবাই করার ছোরা দিয়ে আলমগীরকে কুপিয়ে মাথা, হাত ও পায়ের হাড় বের করে ফেলেছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, মাদক কারবারির বাড়িতে অধিকতর তল্লাশি চালালে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে আহত আলমগীরের মা আলেয়া বেগম।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বৈখর এলাকার মাদক কারবারি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। দিন রাত ২৪ ঘন্টাই মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা দেখা যায় তাদের বাড়িতে। শহরের সকল মাদক সেবনকারীদের মাদক ক্রয় করার একমাত্র স্থান এখন শান্তির বাড়ি।
অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, মো: বাবু সরকার @ আব্দুল জব্বার (৩০), শিউলি বেগম (৪০), মো. রাজ্জাক (২৫), পুতুলি বেগম (৩০) বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় বৈখর পশ্চিমপাড়া রনছ ব্রিজের পূর্ব পাশে বালুর মাঠে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাপাতি, রামদা, ছুরি, সুইচ গিয়ার, লোহার রড, কাঠের ডাসা নিয়ে অতর্কিতভাবে আলমগীরের উপর হামলা করে।
এতে বাম হাত ও মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আলমগীরের শরীর। এ সময় আহত হয়ে মাটিয়ে পড়ে আত্মচিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মাদক কারবারিরা চলে যায়। পরে গরুরতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে সদর হাসপাতালে পাঠালে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাবু সরকারকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি আছে।