ভাঙ্গারি দোকান গুলোতে চলছে চোরাই মালের বাণিজ্য

জুয়েল দেওয়ান,গজারিয়া
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৫৪ PM, ০২ জানুয়ারী ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ভাঙ্গারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চলছে চোরাই মালের জমজমাট বাণিজ্য। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। এসব ব্যবসার উপর নজরদারি নেই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।

অবৈধভাবে রাতের আঁধারে অটোরিকশা ছিনতাই, প্রাইভেটকার, বাড়ির পাশে থাকা পানির কলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি হয়। একটু সন্ধা হলেই ভাঙ্গারির দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করে অন্যসব সরঞ্জামের সাতে মিশিয়ে রাখা হয় এসব। ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চোরাই লোহাজাত দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে ভাঙ্গারি দোকান গুলোতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হোসেন্দী, বালুয়াকান্দি, ভবেরচর, আলীপুরা সহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ভাঙ্গারি মালামাল কেনা বেচার দোকান। এইসব দোকানির সহযোগিতায় এলাকা ভিত্তিক গড়ে উঠেছে একাধিক চোরের দল। এই চোরের দলগুলো বিভিন্ন এলাকা থেকে বৈদ্যুতিক মোটর, তার, বৈদ্যুতিক ট্রান্স মিটার, জানলার গ্রীল, টিউবওয়েল, টিন, অটোরিকশাসহ যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরি করে দোকানিদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে।

জানা যায়, বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন কারখানা সংস্কার কাজের জন্য রাখা রড, তারসহ লোহা দ্রব্যাদি ও চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজন বাড়ির মালিকের সাথে আলাপে জানা গেছে, কিছু মাদকসেবক বাড়ি থেকে যখন নেশার টাকা যোগাড় করতে পারে না, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহা চুরি করে। আর চুরি করা মালামাল ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়।

উপজেলার ভবেরচর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কলেজ রোড এলাকায় একাধিক ভাঙ্গারির দোকান রয়েছে। রাত একটু গভীর হলেই এসব ভাঙ্গারির দোকানে চলে কাটকাটি। অসংখ্য চোরা কারবারীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই দোকানের মালিকদের।

হোসেন্দী এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, কিছুদিন আগে চোরের দল তার গাড়ি থেকে ব্যাটারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যায়। পরে তা ভবেরচর এলাকায় এক ভাঙ্গারি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলিপুরা এলাকার এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী বলেন, চুরির মাল ছাড়া প্রকৃত ভাঙ্গারি ব্যবসা করা খুবই কঠিন। আর সকলকেই ম্যানেজ করেই চলে এই ভাঙ্গারি ব্যবসা।

তিনি জানান, একেকজন ব্যবসায়ীর ৫-৬ জন ফেরি ব্যবসায়ী থাকেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিছু নিত্যপণ্যের বিনিময়ে ব্যবহার অনুপযোগী কিংবা পরিত্যক্ত জিনিষপত্র সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।#

আপনার মতামত লিখুন :