ভাগ্যকুলে রাস্তার গাছ কেটে নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

শ্রীনগরে একটি রাস্তার গাছ কেটে নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ।উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামাড়গাও জিপ স্যান্ড থেকে নিলকৃষ্ট বাবুর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার রাস্তার পাশের গাছ কেটে নিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ জানান কামাড়গাও থেকে নিলকৃষ্ট বাবুর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার রাস্তার পাশে লাগানো বড় বড় গাছের গোরা বর্ষা মৌসুমে ও বৃষ্টিতে ভিজে দুর্বল হয়ে গেছে।গাছের গোরা দুর্বল হওয়ার ভলে গাছের গোরা উপরে রাস্তার পাশে থাকা খালে পরে যাচ্ছে।এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাটি।দুই পাশে ছোট হয়ে আসছে রাস্তা।এতে চলাচলের মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে স্থানীয়দের। এছাড়াও এ রাস্তাটি পিচ ঢালাই করার জন্য সরকারি ভাবে প্রস্তাবনা সম্পন্ন হয়েছে।খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ হবে বলেও শুনেছি।তাই এখন থেকেই রাস্তার পাশের গাছ কেটে না রাখলে রাস্তার কাজ পিছিয়ে যেতে পারে।তাই প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার পাশের গাছ কেটে নেয়া।
সরজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, রাস্তার পাশে থাকা গাছের গোরার মাটি নরম হয়ে অনেক গাছ হেলে রয়েছে।যে কোন সময় গাছ মাটি থেকে উপরে খালে পরে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।অনেক জায়গায় গাছ ভেঙে পরায় রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।এতে চলাচলের অসুবিধে হচ্ছে স্থানীয়দের।তার পরেও যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে।একসময় বড় যানবাহন চলাচল করলেও রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারনে এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান রাস্তার পাশের গাছের গোরার মাটি বৃষ্টি ও বর্ষার মৌসুমে নরম হয়ে যাওয়ার ফলে গাছ তার ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে পাশে থাকা খালে পরে যাচ্ছে।রাস্তার পাশে থাকা খালে মাছ চাষের ফলে চাষি মাছ গাছের গোরার মাটি খেয়ে নেয়ার ফলেও গাছ গোরা থেকে উপরে খালে পরে যাচ্ছে।এতে রাস্তাটি দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার পাশের গাছ কেটে নেয়া উচিৎ।
গাছ কাটার বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মো. সেলিম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।