শ্রীনগরের বীরতারায় কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তি!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নে একটি কাঁচা রাস্তায় যাতায়াতে এলাকাবাসী ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ওই রাস্তার পাশে কারিগর পাড়ায় ১৬০টি পরিবারের প্রায় ৮০০ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বেশী। তাদের স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও স্থানীয় হাটবাজার এবং নানা কাজকর্মে যাতায়াতের জন্য একমাত্র কাঁচা হালট রাস্তাটি ব্যবহার করে গন্তব্যে আসা যাওয়া করতে হয়ে। বৃষ্টি মৌসুমে ভাঙাচূরা ও উঁচু নিচু রাস্তায় কাঁদামাটি জমে একেবারেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে। বাধ্য হয়েই নাজুক রাস্তায় স্থানীয়রা হাঁটা চলাফেরা করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে বীরতারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কেন্দ্রের সামনে থেকে কারিগর পাড়া হয়ে বীরতারা জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ১ কিলোমিটার সংযোগ রাস্তাটির বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে। সংস্কারের অভাবে উঁচুনিচু রাস্তাজুড়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কারিগর পাড়ার দিকে প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা একেবারেই সরু। এছাড়া আজগর আলীর বাড়ির সামনে ও সরকারি ক্লিনিকটির সামনে দেখা গেছে জরাজীর্ণ দুইটি কাঠের পোল। কাঁচা রাস্তাটি বীরতারা বাজার ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে’র ষোলঘর বাস স্ট্যান্ডের সংযোগের পাকা সড়কের শাখা রাস্তা এটি। তাই কারিগর পাড়া ও বীরতারাবাসীর সড়ক পথের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাঁচা রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৭/৮ বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম জালাল মাস্টারের আমলে হালট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। এর পর রাস্তার উন্নয়ণে তেমন কোন কাজ হয়নি। বর্ষার পানিতে নিচু রাস্তাটি ডুবে যায়। এতে কারিগর পাড়াসহ অত্র এলাকাবাসীর নৌকায় করে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (নবনির্বাচিত) শেখ জাহাঙ্গীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৫/৬ বছরের মধ্যে রাস্তার উন্নয়নে কোন কাজ হয়নি। অত্র এলাকায় বিশেষ করে এই ওয়ার্ডেও কারিগর পাড়ার মানুষগুলো রাস্তার অভাবে সারা বছর কষ্ট করছেন। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। রাস্তার কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সভায় প্রস্তাব রাখছি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে চেয়ারম্যান সাহেব কাঁচা রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য সামনে বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।