ফসলি জমির মাটি কাটায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট!

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৫০ PM, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসবে মেতেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। নিয়মনীতির কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিন দুপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের লোকজন। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানা ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ সিন্ডিকেটের হালিম খান ও সোহাগসহ একাধিক লোকের বিরুদ্ধে। অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ডাকের হাটি গ্রামের পূর্ব পাশের তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে স্থানীয় হালিম খান ও সোহাগ নামে দুই ব্যক্তিসহ আরো বেশ কয়েকজন। মাস খানেক ধরে চলছে অবৈধ ভাবে এ মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। অনেকটা জোড় জুলুম করেই কেটে নেওয়া হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে করে জমির পরিমাণ দিন দিন কমতে শুরু করেছে। ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছে স্থানীয় অর্ধশতাধিক কৃষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিত্রকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে নিষেধ করলেও কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করেই মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে সিন্ডিকেটের লোকজন। ফলে অনেকটাই নির্বিকার তারা। ফমলি জমি টিকিয়ে রাখতে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গোয়ালখালী গ্রামের ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, তারা আমার জমির মাটি কেটে ১০-১২ ট্রাক মাটি নিয়ে গেছে। জানার পর বাধা দিয়েছি। আমি মামলা লিখে রেখে এসেছি। মাটি কাটা সিন্ডিকেটের সদস্য মো. হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হ্যা আমরা মাটি কাটি। তবে এখনতো মাটি কাটা বন্ধ। চেয়ারম্যান সাহেব বলার পর আমরা মাটি কাটার ব্যবসা ছেড়ে দিবো চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছনিম আক্তার বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। অতি দ্রুত এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা অবৈধভাবে মাটি কাটছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।#

আপনার মতামত লিখুন :