মুন্সীগঞ্জে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে

মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ব্যয় বহুল নির্বাচনী প্রচারণায় মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সমিতি পাড়ায় প্রার্থীদের রঙ্গীন ফেস্টুনে ভরে উঠেছে। এছাড়া প্রার্থীদের রঙ্গীন গ্রুপ লিফলেট ছাড়াও একক ভাবে প্রার্থীদের লিফলেট প্রচার প্রচারণায় এবার প্রাধান্য পেয়েছে। গ্রুপভাবে যেমন প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট চাচ্ছেন, তেমনটি এককভাবে নিজের ভোট প্রার্থনা করছেন অনেক প্রার্থী।
সব কিছু মিলিয়ে এখানে ভোট প্রচারণা জমে উঠেছে। এখন এখানে ভোট উৎসব বিরাজ করছে। বারে সব সময়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি আইনজীবীদের মধ্যেই ভোটের লড়াই হয়ে থাকে। এবারো তেমনটি হচ্ছে এ নির্বাচনে।
দুটি গ্রুপ থেকে আলাদাভাবে এখানে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীরা। রাজনৈতিক ব্যানারে বা সমর্থনে এখানে দুটি প্যানেলে প্রার্থীরা নির্বাচনে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত দলীয় সমর্থনে অনেক প্রার্থী তেমনটি বিজয়ী হতে পারেন না। অনেকেই নিজের ইমেজে ও দলীয় সমর্থনের প্লাস পয়েন্ট হিসেবে নির্বাচনে জয়ের পথ সহজ করে বিজয়ের মুখ দেখে থাকেন প্রার্থীরা।
বিগত দিনের নির্বাচনে দেখা গেছে এক প্যানেল থেকে সভাপতি ও অন্য প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আর এর সমিকরণে দেখা গেছে যে, যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের ভোটের সাথে বিজয়ী ভোটারদের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। বিগত দিনে কখনো এককভাবে কোন প্যানেলই এখানে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। বরং দলের সমর্থনের বাইরে গিয়ে চির চেনা মুখের পরিচয়ে ভোট ব্যাংক নিয়ে অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন।
তবে বারের নির্বাচনে বিগত দিনে দেখা গেছে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে পশ্চিমা অঞ্চল থেকে যারাই প্রার্থী হয়েছেন তারই বিজয়ী হয়েছেন। সেক্ষেত্রে এ নির্বাচনে পশ্চিমা অঞ্চলের ভোট ব্যাপক প্রভাব পরে থাকে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে অনেক বছর পর এবারের নির্বাচনে ঐদু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে এবারে নির্বাচনে কোন প্রার্থী নেই।
সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনে পশ্চিমা ভোটারের মেরুকরণে কোথায় প্রভাব পরে তা দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অনেক ভোটার মনে করছেন। তবে ছোট ছোট ভোট ব্যাংকের ভোটাররা ইতোমধ্যে কাকে কাকে ভোট দিবে তা নিয়ে দল পাকাতে দেখা গেছে। এবারের নির্বাচন অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ। সেটি হচ্ছে এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের আইন পেশায় বয়স বেঁধে দেয়া হয়েছে।
এ নির্বাচনে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে, বিগত দিনের নির্বাচনের সময়ে প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের মাধ্যহ্ন ভোজ আপ্যায়িত করাতেন। কিন্তু এ নির্বাচনে এ বিষয়টি অনুপস্থিত রয়েছে যে কোন কারণে। তবে এ নিয়ে অনেক ভোটারকে আলাপ আলোচনা করতে দেখা গেছে। তাতে এ বিষয়টি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে অনেক ভোটারের অভিমত হচ্ছে যে, এ বিষয়টি চালু থাকলে ভোটের দরবার আরো জমজমাট হয়ে উঠতো।
আগামী ৩১ জানুয়ারি এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৪শ’১৮জন ভোটার এ নির্বাচনে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। ১৫টির পদের বিপরীতে দু’টি প্যানেল থেকে এ নির্বাচনে ৩০জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছে।
আওয়ামীলীগ সমর্থনের প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ সবুজ প্রার্থী হয়েছেন। অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবতী ইতোপূর্বে ঐ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থনে প্যানেলে অ্যাডভোকেট মো: মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মাসুদ আলম। তারা দু’জন ইতোপূর্বে ঐপদে দায়িত্ব পালন করেছেন পৃথক পৃথকভাবে। বিগত দিনে তাদের দু’জনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।