পদ্মা সেতুর দুইটি স্প্যান বাকি, দৃশ্যমান ৫ হাজার ৮৫০ মিটার অবকাঠামো

পদ্মাসেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিয়ারের উপর বসানো হলো ৩৯তম স্প্যান। অনেকটা মাঝ নদীতে দুটি পিয়ারের উপর এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মাসেতুর মূল কাঠামো দৃশ্যমান হলো ৫ কিলোমিটার ৮৫০ মিটার পর্যন্ত।
বাকি থাকলো আর দুটি স্প্যান বসানোর কাজ। যা বসানো হলে ৬.১৫ কি.মি দীর্ঘ সেতু পূর্ণাঙ্গ কাঠামো পাবে।
সকালে কিছুটা কুয়াশা ঢাকা থাকলেও ধীরে ধীরে সূর্যালোকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে পদ্মা। তারই মধ্যে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট চলে ভাসমান ক্রেন নির্ধারিত খুঁটির কাছাকাছি পৌছায়। এরপর ঘণ্টা দেড়েকের প্রচেষ্টায় দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটের মধ্যেই ৩৯তম স্প্যানটি দুই পিয়ারের মাঝখানে বসানো শেষ করেন সেতু প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা। পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সেতুর ৩৮তম স্প্যানটি বসানো হয়। সেটি বসানো হয়েছিলো সেতুর মাওয়া প্রান্তে। যার একটা দিক বসে ডাঙায় অন্যদিকটা নদীতে।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে সব মিলিয়ে ৪২টি খুঁটি বা পিয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে ৪০টি খুঁটি থাকবে পানিতে আর ২টি ডাঙায়। ডাঙায় থাকা দু’টি খুঁটি সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সেতুকে যুক্ত করবে। ৬টি মডিউলে বিভক্ত থাকবে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১ হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট বা ঝুলন্ত পথ ও জাজিরা প্রান্তে থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার।
বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মা সেতুর পুরোটাই নির্মিত হবে স্টিল ও কংক্রিট স্টাকচারে। সেতুর ওপরে থাকবে কংক্রিটিং ঢালাইয়ের চার লেনের মহাসড়ক আর তার নিচ দিয়ে যাবে রেললাইন।