পদ্মায় ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ

আরিফুল ইসলাম শ্যামল
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:০৭ PM, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন দুই মৎস্যজীবি মন্নাফ (৬৫) ও জাহাঙ্গীর (৭০)। প্রায় চার যুগ ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ডিঙ্গি কোসা নৌকায় করে পদ্মা নদীর গভীরে গিয়ে আদি পন্থায় হাইংলা জাল দিয়ে তারা ইলিশ শিকার করে আসছেন। এসব রুপালী ইলিশ বিক্রি করছেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া মৎস্য আড়তে। ওই এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক মৎস্যজীবি আছেন পদ্মায় তারা ইলিশ শিকার করছেন। পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাঘড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীর শাখা খালে ও বাঘড়া বাজার সংলগ্ন চরের পাশে ইলিশ ধরার অনেক নৌকা ও ট্রলার। নৌকাগুলো নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে অনেক ডিঙ্গি কোসা নৌকাও রয়েছে। এ সময় লক্ষ্য করা যায়, একটি ডিঙ্গিতে দুই জন বৃদ্ধ মৎস্যজীবি নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মো. মন্নাফ ও মো. জাহাঙ্গীর বাঘড়ার স্থানীয় বাসিন্দা। এই পেশোয় দীর্ঘ ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে আদি পন্থায় হাইংলা সুতর জাল দিয়ে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন তারা। স্থানীয় মৎস্য আড়তে এসব ইলিশ মাছ বিক্রি করে সংসারের উপার্জন হচ্ছে। তবে মৌসুমের এই সময়ে পদ্মায় তারা ইলিশ কম পাচ্ছেন। তারা বলেন, তাদের মত অনেকেই আছেন পদ্মায় ইলিশ শিকার করে জীবন নিবার্হ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মার রুপালী ইলিশের চাহিদা থাকায় এক কেজি ওজনের ওপরে প্রতি কেজি ইলিশ খুচরা বাজারের বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। ৫শত’ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

স্থানীয় জেলে পলাশ বর্মন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এখানকার মৎস্যজীবিরা বিকালে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ইলিশের সন্ধান করেন। গভীর রাত পর্যন্ত নদীতে ইলিশ ধরতে ব্যস্ত সময় পাড় করেন। খুব ভোরে এখানকার জেলেরা বাঘড়া মৎস্য আড়তে ইলিশ বিক্রি করেন।

শ্রীনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাক জানান, বাঘড়ায় তালিকাভুক্ত ৯১ জন মৎস্যজীবি আছে। এর বাহিরেও প্রায় দেড় শতাধিক মৎস্যজীবি আছেন। তারা পদ্মা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করেন। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :