গজারিয়ায় স্ট্রোক করে ঋণ গ্রহিতার মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঋণ আদায়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপে স্ট্রোক করে তিন সন্তানের জননী হোসনে আরা বেগম নামে এক ঋণ গ্রহিতা মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঋণ গ্রহিতার হোসনে আরা বেগম বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য রফিক মিয়ার স্ত্রী।
শনিবার সকাল ৯ টার দিকে পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনে আরা বেগমের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী ফাহমিদা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তার শ্বাশুড়ি উপজেলার ব্রাক, আশা, টিএমএস ও সাজেদা ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ধাপে ধাপে মোট ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে তার দেবর কে সৌদি আরব পাঠায়। কিছু দিন কাজ করার পর সৌদি আরব থেকে তার দেবর ফেরত চলে আসে। পরে দুই ভাই মিলে গাড়ি চালিয়ে কোন রখন উপার্জন করে সংসার চলায়। হঠাৎ করোনা লকডাউনে পরিবহন সেক্টর বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে যায় স্বামী ও দেবর। এরই মধ্যে গত দুই দিন ধরে উল্লেখিত ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়িতে ঋণের জন্য আমার শ্বাশুড়ি কে ভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
তিনি আরো জানান, গেল বৃহস্পতিবার সাজেদা নামে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী বাড়িতে এসে আমার শ্বাশুড়ি কে বলে কোথা থেকে কিস্তি এনে দেবেন আমাদের জানার বিষয় না। শনিবারের মধ্যে কিস্তি না দিলে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের কিস্তি চাপে আমার শ্বাশুড়ি শনিবার সকালে স্ট্রোক করে মারা যায়।
এবিষয়ে জানতে ভবেরচর শাখার সাজেদা ফাউন্ডেশন এনজিও ম্যানেজার জাহিদ হাসান জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন মাঠ কর্মী ওই এলাকায় যায়নি। তাদের বক্তব্য সঠিক নয়।