গজারিয়ায় শীতের সঙ্গে বেড়েছে রোগবালাই হাসপাতালে ভিড়

জুয়েল দেওয়ান,গজারিয়া
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:৪৬ PM, ২২ জানুয়ারী ২০২২

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তীব্র শীতে বাড়ছে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা ধরনের রোগ। ফলে উপজেলা স্বাৃস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় বেড়েছে রোগীদের। গেলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে গিয়ে রোগীদের ভিড় দেখা যায়। ৪ টি কক্ষে একাধিক ডাক্তার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন । রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যে সব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলক ভাবে বেশি। ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দ্বিগুণ।

শীতের কারণে সকাল ৮ টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, ডাক্তারের কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। অনেকে আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এখানে চিকিৎসার জন্য গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম থেকে এসেছেন ৬৩ বছর বয়সী আবুল বাশার। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না। নাক দিয়েও পানি পড়ে। এ কারণে ডাক্তারের কাছে এসেছি, দেখি তারা কী বলেন।

ঠান্ডাজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন লিমা আক্তার। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় থাকে না। স্বামীর সঙ্গে এসেছেন তিনি।সমস্যার কথা তুলে ধরে লিমা বলেন, পানিতে হাত দিলেই ঠান্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য আবার ডাক্তার দেখাতে আসলাম।

শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো। বহির্বিভাগের সামনে কথা হয় ভবেরচর থেকে আসা ১৭ বছর বয়সী আরমান মুন্সির সঙ্গে। একই অবস্থা তারও। নিজের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু ঠান্ডা ভালো হয়নি। তাই আসলাম ডাক্তার দেখাতে। নাক দিয়ে পানি পড়ে, শুকনো কাশিও হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আরশাদ কবির বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমার রোগী বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনার ফলেইেএসব রোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগের সংক্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ হিসেবে ডা. আরশাদ কবির আরও বলেন, প্রথমত: সচেতনতা দরকার। এছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা, আদা এসব খাওয়াও বেশ ভালো। সেইসঙ্গে ধুমপান না করা, মাস্ক পরাসহ ঠান্ডা লাগতে পারে এমন কিছু এড়িয়ে চললে এ ধরনের রোগী হ্রাস পাবে।#

আপনার মতামত লিখুন :