গজারিয়ায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে যুবকের বেঁচে থাকার স্বপ্ন

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে মো. নাঈম সরকার নামে এক যুবকের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। বেকারত্ব জীবন থেকে যে স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন খামার ব্যবসা, দুর্বৃত্তদের দেয়া সেই নিষ্ঠুর আগুনে তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গেলো রোববার দিনগত রাত মধ্যরাতে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা মিঝিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফার্মের ঘর ও মুরগীর জন্য রাখা খাবার মুহূর্তে পুরে সব ছাই হয়ে যায়। এতে আগুনে প্রায় ৭লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী মো. নাঈম সরকার।
তিনি জানান, রোববার আনুমানিক রাত দের টার দিকে এক প্রতিবেশী মোবাইল ফোনে জানান তার মুরগী খামারে আগুন লেগেছে। পরে ঘটনার স্থলে এসে দেখতে পান দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পরে ৯৯৯ লাইনে ফোন দিলে গজারিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্ত এরই মধ্যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি জানান ইমামপুর ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমি নৌকা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় প্রতিপক্ষের সর্মথকরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্বাচনে আগেও পরে ভয়-ভীতি ও আমার ফার্মটি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
তিনি জানান, গত সপ্তাহে ১৬শত মুরগি বিক্রি করে পুনরায় মুরগির বাচ্চা উঠানোর জন্য ধুয়ে মুছে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পুবালি ব্যাংক থেকে ২লাখ টাকা আশা এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নিয়ে এবং বাকী সাড়ে ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছ থেকে সুদ নিয়ে ৬শতাংশ জায়গার উপর এই মুরগির ফার্ম টি স্থাপন করেছি। আমি এখন সর্বস্বান্ত। ব্যাংকের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো? আমি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাই।
এবিষয়ে ইমামপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য ,তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, দুষ্কৃতিকারী যারাই হোক না কেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট দাবি জানাই।#