গজারিয়ায় জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর-দৌলতপুর সড়কের নয়াকান্দি এলাকায় খালের ওপর জরাজীর্ণ সেতু’ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যান চলাচল করছে। ভারী ভারী যানবাহনের চাপে সেতুটি যেকোনো দিন ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইমামপুর ইউনিয়নের নয়াকান্দি খালের ওপর আরসিসি ঢালাই করা সেতুর উপরি ভাগের সিমেন্ট ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে কঙ্কালসার রডগুলো বের হয়ে গেছে। সেতুর একপাশে রেলিং ভেঙে যাওয়ায় রড মরিচা পড়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেতুর তলায়ও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
সেতুটি দিয়ে রাত-দিন ভারী ভারী যানবাহন চলছে। গাড়ি চলার সময় সেতুটি ভীষণ ভাবে কাঁপে। মনে হয় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ পূর্বে নয়াকান্দি খালের ওপর এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ৫ বছর দরে এই সেতুর একপাশে রেলিং ভেঙে গেছে এমনকি ব্রিজের অধিকাংশ স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে সেতুটির গর্তে স্টিলের প্লেট বসিয়ে সাধারণ যান চলাচলের উপযোগী করা হয়।
নয়াকান্দি গ্রামের ইমামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সরল খাঁন জানান বিএনপি’র আমলে এই সেতুর কাজ হয়েছে। তারা নিজের মতো করে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করেছে বলেই সেতুর এ বেহাল অব্যবস্থা হয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ চলাচল করে।
সেতুর গোড়ায় কর্মরত বালু ব্যবসায়ী সুমন হোসেন জানান, সেতুটি দিয়ে থ্রী এঙ্গেল কোম্পানি, ষৌলআনী বিদ্যু কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার ভারী যানবাহন চলাচল করে। যানগুলো চলাচলের সময় সেতুটি এমনভাবে কাঁপে যেন মনে হয় ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। তিনি আরো জানান, চলাচল উপযোগী করার জন্য কিছুদিন আগেও থ্রী এঙ্গেল কোম্পানি নিজ খরচে সেতুটির গর্তে স্টিলের প্লেট বসিয়ে দেয়।
ট্রাক চালক মো. ইব্রাহিম বলেন, এ সেতুর কাছে এলেই ভয় কাজ করে। মনে হয় সেতুটি এখনই ভেঙে পড়বে। দৌলতপুর থেকে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী আলু ব্যবসায়ী মো. জামান বলেন, সেতুটি দিয়ে যাতায়াত যেন নিত্যদিনের দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতি দেয় আবার নির্বাচন গেলে ভুলে যায়। প্রতিদিনই এখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।#