গজারিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টায়; আটক-১

টুডে প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:২৩ AM, ২৫ জুন ২০২১

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দাবিকৃত যৌতুকের পাঁচ লক্ষ টাকা না পেয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর এক সন্তানের জননী হালিমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মুখে হারপিক ঢেলে হত্যার চেষ্টা তার স্বামী মােঃ রবিন কে আটক করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।

গেল বুধবার বিকালে এক অভিযান চালিয়ে হোসেন্দী ইউনিয়নে জামালদী তার নিজ বাসগৃহ থেকে তাকে আটক করে।

নির্যাতিতা হালিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক জন প্রায়ই অমানুষিক নির্যাতন করত। কিন্তু সকল কিছু ভুলে একমাত্র সন্তানের সুখের কথা ভেবে আমার বাবার বাড়ির কাউকে কিছু বলিনি।

কিন্তু গত ১৫ জুন রাত ৪ টার দিকে আমার স্বামী রবিন বাসায় আসে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি। এতো রাত করে বাসায় কেন ফিরলে। একথা বলার পর আমাকে স্বামী মার ধরে মারে। তার একপর্যায়ে পাশের রুম থেকে আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি এসে আমার হাত পা ধরে আমার মুখে হারপিক ঢেলে দেয় পাষন্ড স্বামী রবিন। আমি তাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে একপর্যায়ে ছুটে গিয়ে পাশে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার বড় ভাইকে ফোন দেই। বড় ভাই ফোন পেয়ে ওই রাতে আমার মা বাবা কে সাথে নিয়ে এসে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে জামালদী একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে গত ১৬ জুন স্বামীসহ ৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু র্নিযাতন আইনে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।

হালিমা আক্তারের পিতা হান্নান খান বলেন, চার বছর পূর্বে ওই গ্রামের জামালদী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রবিনের সাথে সামাজিক ভাবে তার মেয়ে হালিমার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘরে আদনান সিফাত নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

বিয়েতে যৌতুক দিতে অনিহা থাকা স্বত্বেও যৌতুক পিপাসুদের চাপের মুখে নগদে ২ লক্ষ টাকা এবং ৫ রকমের ফার্নিচার ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার দেই। পরবর্তীতে বিয়ের এক বছর পর ফের ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।পরে স্বামী রবিন ও শ্বাশুর শ্বাশুড়ি দাবিকৃত যৌতুকের বাকি টাকার জন্য হালিমাকে মারধর শুরু করে। সে নিযার্তন সইতে না পেরে আবার আমার বাড়িতে চলে আসে।

গত ১৩ জুন সকালে গ্রাম্যপ্রধানসহ উভয় পক্ষকে এলাকাতে ঘরোয়া বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে হালিমাকে নিয়ে স্বামী রবিন বাড়িতে চলে যান। এর দুই দিন পরে ১৫ জুন রাতেই স্বামী ও শ্বাশুর শ্বাশুড়ি অমানুষিক নিযার্তন শুরু করে তাকে হত্যা চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন আমরা দরিদ্র মানুষ আমরা কি ন্যায় বিচার পাব?

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, আসামীদের মধ্যে ১জনকে বুধবার বিকালে আটক করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :