গজারিয়ায় আশ্বিনের ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষাণ কৃষাণি

আমিরুল ইসলাম নয়ন
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৫১ PM, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার কৃষকরা এখন মাঠে কর্মব্যস্ত দিন পাড় করিতেছে, তারা এখন সারা দিন মাঠে আশ্বিনের ধান “ফুল বাদাম ” এ নতুন ধান কাঁটা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তারা।গজারিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে আশ্বিনের ধান কাঁটার উৎসব চলিতেছে।তারা আনন্দের সাথে ফসলী জমির নতুন ধান খেতে ভোর সকাল থেকে সন্ধ্যারাতি পর্যন্ত জমিতে ধান কাঁটছে এবং নানা কাজে ফসলি জমিতে লিপ্ত রয়েছে।

এখন গজারিয়ার প্রতিটি কৃষক কৃষাণির কর্মব্যস্ততার মধ্যে তাদের সারা দিন অতিবায়িত্ব করিতেছে দিনের বেশির ভাগ সময় কৃষান কৃষাণি এখন ঘরের বাহিরে জমিতেই কাজ করিতেছে।গজারিয়ার টেংগারচর ইউনিয়নের কৃষকশ্রেণীর সাথে কথা বলিলে তারা জানায়,এবার তাদের টেংগারচর গ্রামে আশ্বিনের ধান “ফুল বাদাম “ও বিয়ার ২৮ নামে ধানটির চাষ এবং ফলন ভালো হয়েছে।তারা এখন সারা দিন মাঠে এ নতুন ধানের জমিতে ধান কাঁটা এবং মাড়াই নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝে দিন যাচ্ছে তাদের।

জমি থেকে এ আশ্বিনি ফুল বাদাম জাতের ধান কেঁটে মাঠে রাখার পর, কৃষকের পাশাপাশি কৃষাণিদের কাজ বেড়ে যায় দ্বিগুন।ধান মাড়াই থেকে শুরু করে, ধান পরিষ্কার করা, ধান এবং খড় শুকানো,এবং ঘরে তোলার পর্যন্ত কৃষকের সমান কাজ করিতে হয় কৃষাণিদেরও।

রোদে তাদের মুখ হাত পা কালো হয়ে গেলেও,কৃষক কৃষাণিদের মুখে মিষ্টি হাসি।এ হাসির রহস্য হচ্ছে , তারা এখন যতই না কষ্ঠ করুক,তাদের সে কষ্ঠ শরীরে লাগিবেনা।তাদের কাংখিত শষ্যদানা তাদের জমি থেকে এখন ঘরে তোলার পালা সে জন্য তাদের সকলের মুখে মিদু হাসি।এ রোদ তাদের নৃত্তদিনের সংঙ্গী।
তাই এখন গজারিয়ার সকল কৃষক কৃষাণির মুখে হাসি।গজারিয়ার প্রায় প্রতিটি মাঠের দিকে তাকালে দেখা যায়,কৃষক কৃষাণি আপন মনে আশ্বিনির নতুন ধান “ফুল বাদাম” ও বিয়ার আটাশ জমি থেকে কেঁটে ঘরে তোলার কাজে কর্মব্যস্ত দিন পার করিতেছে।কেউ ধান পরিষ্কার করিতেছে, কেউ খড় শুকাচ্ছে, কেউ ধান মাড়াই এর কাজ করিতেছে।

টেংগারচর ইউনিয়নের
কৃষক মুহাম্মদ আব্দুল কাদির জানান,তাদের ইউনিয়নে এবং গ্রামে গত বছরের চাইতে এবার আশ্বিনি ধানের চাষ বেশি হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি আরো জানান,আশ্বিনি ধান চাষ করিতে বেশি খরচ লাগেনা বিধায় লাভ বেশি সে জন্য বিগত বছর গুলোর চাইতে এবার গজারিয়ায় আশ্বিন মাসের আশ্বিনি ধান মানে “ফুল বাদাম ও বিয়ার আটাশ এবং আরো কয়েক ধরনের ধান চাষ হয়েছে অধিক এবং ফলন ও ভালো পেয়েছে তারা।তিনি আরো জানান,বিভিন্ন পাখির উৎপাতে কিছুটা খতি হয়েছে তাদের তবে জমি থেকে পাখি ধুরে রাখিতে পাড়িলে ফসল আরো ভালো পাবে বলে জানান।

আশ্বিনি ধান চাষে নেই সারের তেমন খরচ অনেকে হালকা সার ব্যবহার করে আবার কেউ করেনা।আশ্বিনি ধান আলু তুলার পর পর জমিতে ছিটিয়ে দিলেই হয় এর জন্য পানি, সার এবং পরিচর্যার জন্য ও অতিরিক্ত তেমন কোনো খরচ নেই এবং ধান ও খড় দিয়ে আশ্বিনি ধান চাষ কৃষকদের বেশ লাভবান হওয়ায় গজারিয়ায় এ ধান চাষের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান কৃষক আব্দুল কাদির।

আপনার মতামত লিখুন :