আড়িয়াল বিলে অস্থায়ী হাঁসের খামার

বির্স্তীণ আড়িয়াল বিলে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে হাঁসের খামার। বিলের পানিতে দলবদ্ধভাবে অসংখ্য হাঁসের দল আহার খুঁজে বেড়াচ্ছে। আড়িয়াল বিল সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশেই একটি উঁচু শুকনো জমিতে এসব হাঁস লালন-পালনের জন্য টিন ও বাঁশ দিয়ে এক চালা শেড তৈরী হয়েছে। খামার দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে জলবল। বিখ্যাত আড়িয়াল বিল এলাকার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া-বাড়ৈখালী সড়কের শ্রীধরপুরে এমনই একটি হাঁসের খামারের সন্ধান মিলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ঢাকা জেলার নবাবাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. আলম নামে এক ব্যক্তি বাড়ৈখালীর খাহ্রায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে শখের বসে আড়িয়াল বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁসের খামারটি করেন। সেই ইচ্ছা থেকেই আস্থায়ীভাবে একটি শেডে খামারটি গড়ে তুলেন। প্রায় দেড় হাজার হাঁস লালন-পালন করা হচ্ছে এখানে। বর্ষার মৌসুমকে সামনে রেখে শুধু হাঁসের ডিম উৎপাদণের লক্ষ্যে খামারটি গড়ে তোলা হয়। বিলের পানি শুকিয়ে গেলে খামারটির সমাপ্তি হবে এমটাই জানান কাজল মিয়া ও আলম মিয়া নামে এখানকার দায়িত্বে থাকা দুই খামার শ্রমিক।
তারা বলেন, খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৪’শত থেকে ৫’শত ডিম সংগ্রহ হচ্ছে। সপ্তাহে ২দিন পাইকাররা এখানে এসে এসব ডিম বিক্রির জন্য নিয়ে যান। মাসিক বেতনে হাঁস লালন-পালন করাসহ খামারে যাবতীয় কাজকর্ম করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ মূহুর্ত আড়িয়াল বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে এসব হাঁস শামুক, ঝিনুক ও ছোট মাছ শিকার করে বেড়ায়। এতে করে হাঁসের ফিড জাতীয় খাবার ক্রয়ে খামারীর ব্যায়ের খরচের পরিমান অনেকাংশে কম হচ্ছে। আড়িয়াল বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁসের খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন খামারী। খামার থেকে প্রতি ১০০ পিস হাঁসের ডিম পাইকারের কাছে বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করা হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়। হাঁসের ডিম বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় পরিক্ষামূলকভাবে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস লালন-পালন করা হচ্ছে এই খামারটিতে।